রবীন্দ্রচর্চ্চা বেড়েছে, কিন্তু নিজেদের জীবনে তার প্রকাশ হচ্ছে কতটুকু - জরুরী এই প্রশ্নটি উদ্বোধনী ভাষণে শুধিয়েছিলেন জেলা সভাধিপতি প্রদীপ সাহা, গত ৬ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশতবর্ষ স্মরণে চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত হুগলী জেলা শিশু-কিশোর উৎসবের আনন্দমঞ্চে। স্বাগত ভাষনে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং উপস্থিত তিন যশস্বী শিশু-সাহিত্যিক ননী মুখার্জী, কার্তিক ঘোষ ও দিলীপ বাগের ভাষনেও অনুরণিত হল সেই সুর। বাকী দু'দিন ধরে জেলার সকল প্রান্ত থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা সেই প্রশ্নে ভাবিত হয়ে মেলে ধরলেন নিজেদেরকে। কবির প্রতিকৃতি বসে আঁকা সহ আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্যের চারটি পৃথক, পৃথক আঙ্গিকে 'ক' বিভাগে পাঁচ থেকে নয় আর 'খ' বিভাগে নয়ের বেশী থেকে ষোলো বছর বয়স পর্যন্ত শিশু, কিশোর-কিশোরীরা প্রতিযোগিতাহীন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিকশিত করলেন তাঁরা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কি ভাবছেন সেই সব।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjJFIZbqeu9y1pkPz3IarjaOvAJX_ZvUgKmJe_sbdpMrDR3hXy7snTM2THTZR4-mN736Tm2hc_QL-K40CK3bcEuP8JwmcVAUwl9Gnd_BzC_1gziWxj52GmfYlze4zARimgkwGXgR5sV5mk/s320/ss+sit+and+draw.jpg)
আরামবাগ, শ্রীরামপুর, চন্দননগর, হুগলী সদর মহকুমার নামী বিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভাগপিছু একজন করে সর্ব্বোত্তম কুশলী এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই রেওয়াজী কণ্ঠ মুগ্ধ করেছে উপস্থিত শ্রোতৃমণ্ডলীকে। নৃত্যের নিক্কনে স্পষ্টতই মূর্ত্ত হয়েছে রবীন্দ্রনৃত্যশৈলীর পেলবতার সঙ্গে ধ্রুপদীনৃত্যশৈলীর নিবিড় বিনিময়। প্রত্যেকে প্রংশসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে পূর্বনির্দিষ্ট হারে রাহা খরচ দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশনকারীদের মধ্য থেকে উপস্থিত গুণীজনদের মতামতের ভিত্তিতে বসে আঁকো-র 'ক' বিভাগ থেকে সৃজিতা দাস, 'খ' বিভাগ থেকে রুমিতা দত্ত; আবৃত্তির 'ক' বিভাগ থেকে রণিতা দাস, 'খ' বিভাগ থেকে সময়িতা রক্ষিত; সঙ্গীতের 'ক' বিভাগ থেকে বর্ষা দে, 'খ' বিভাগ থেকে সৃজনী ঘোষ এবং নৃত্যের 'ক' বিভাগ থেকে স্নিদ্ধা দাস, 'খ' বিভাগ থেকে সহেলী রায় রাজ্য শিশু-কিশোর উৎসবে হুগলী জেলার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZpG5U2fTuP_3Lcs4JUAEsd_ejhULk6dR9OpqEbuHFcyCVgm9DkuaBhF44TaHledIU-EVbL5YY7UboWAqOp9x6rt38uWFQH28rpgr8picyeZ5T3fkbeuS0oJRQ_OQXWmnG8QH4KiPkZGM/s320/ss+recitation.jpg)
৬-৮ ডিসেম্বর- এই তিনটি দিনে কচি-কাঁচারা সৃষ্টিশীল কলাপ্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নিজেদের উৎকর্ষতা বাড়িয়ে নিতে পেরেছেন বলে শিক্ষক-অভিভাবকগণ ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ হেন উদ্যোগের প্রতি। কিন্তু আমরা কৃতজ্ঞ 'বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন' সেই সব শিশু-কিশোরদের কাছে, যাঁরা সূদুর আরামবাগ, রিষড়া থেকে পথশ্রমের অসীম কষ্ট উপেক্ষা করে অতি উচ্চমানের কলা পরিবেশনে ধন্য করেছেন আমাদের অন্তর্জগতকে।
প্রতিবেদনঃ লিপিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
# Please download AVRO Bengali font from 'Useful Links' to avoid difficulty in seeing the report properly.
No comments:
Post a Comment