Monday

Annual General Meeting of ABC held at Chandannagore on 04 Dec 2011


Amidst much enthusiasm and hope for better working atmosphere as well as professional facilities, the annual conference of the Association for Better Communication (ABC) was held at Jtotirindranath Sabhagar of Chandannagore on 04 December 2011 when a new Executive Committee was formed comprising of 15 members for another one year.
Here are  a brief report of Annual General Meeting by Smarajit Pramanick, and the photographs taken by Arunabha Mitra.

Sunday

সরকারের সঙ্গে সেতুবন্ধনের চেষ্টা না করাটাই শিল্পী এবং শিল্পের পক্ষে মঙ্গলজনক – বিভাস চক্রবর্তী


(বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক অভিনেতা শ্রী বিভাস চক্রবর্তী-র সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম আমরা। মূল্যবান সেই আলাপ রইল এখানে)

এবিসি আপনার ব্যক্তিজীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা বলুন।
বিভাস আপনরা তো কর্মচারী সংগঠন। তাই আমার চাকুরি জীবনের কিছু ঘটনার কথা বলি? হাইকোর্টে এক বছর চাকুরি করে ১৯৫৮-তে এ জি বেঙ্গলে। এখানে চাকুরিরত থাকাকালীন তিন-তিনটি কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছি- ১৯৬০, ১৯৬৮, ১৯৭৪ সালে। প্রথমবার তো শাস্তি হিসেবে একমাসের বরখাস্তের নোটিস ধরিয়ে দিল। এক মাসকাল এদিক-ওদিক দরখাস্ত পাঠিয়ে চাকরির সন্ধান চলল। জুটেও গেল একটা শিক্ষকের চাকরি – বাটানগর হাইস্কুলে ভূগোলের মাস্টার। ভূগোল আমার অনার্সের বিষয় ছিল। যাই হোক, সমাজবাদী জামাতা ফিরোজ গান্ধীর মধ্যস্থতায় অশোক মেহতার ওপর নেহেরুজির ক্রোধ খানিকটা উপশমিত হল, ফলত শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও প্রত্যাহত হল। আমারও চাকরি ছাড়তে হল না। ১৯৭৪-এ রেল ধর্মঘটে অন্য কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরাও শামিল হয়েছিলেন। মাত্রারিক্ত দমনপীড়নে সে ধর্মঘট ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। শাস্তি ব্রেক ইন সার্ভিস। পরে বলা হল মুচলেকা দিলে শাস্তি মুকুব করা হবে। আমি ইতিমধ্যে প্রপার চ্যানেলে কলকাতা টেলিভিশনে প্রযোজকের চাকরীর জন্য দরখাস্ত করে দিয়েছিলাম। লিখিত পরীক্ষা (কনসেপচুয়াল টেস্ট) এবং ইন্টারভিউ পর নির্বাচিত হলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাঠিয়ে দেওয়া হল পুণের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইন্সটিটউটের টেলিভিশন উইং-এর প্রশিক্ষণের জন্য। কিন্তু আমার বকেয়া শাস্তির কি হবে? আমি তো মুচলেকা দিইনি! এজি অফিস থেকে চিঠি গেল, মুজরিম কো আভি ওয়াপস ভেজো। কেন জানি না, কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এজি অফিসের সেই দাবি অগ্রাহ্য করল। আমি মুচলেকা না দেবার জেদ বজায় রেখেও বেঁচে গেলাম। ছয় মাসের ট্রেনিং - এর পর কলকাতা প্রত্যাবর্তন এবং ১৯৭৫ –এর ৯ই অগস্টে কলকাতা টি ভি সেন্টারের (দূরদর্শন নামটা অনেক পরে দেওয়া হয়েছ।)সম্প্রচার শুরু। আমরা ছিলাম স্টাফ আর্টিস্ট – আমাদের কণ্ট্রাক্ট এক বছর অন্তর অন্তর রিনিউ করা হত। তিন বছরের মাথায় স্থায়ী কন্ট্রাক্ট দেবার কথা। সবাইকে দেওয়া হল,আমারটাই শুধু আটকে গেল। তখনকার কেন্দ্র অধিকর্তা মীরাদি (মীরা মজুমদার) ডেকে বললেন, তোমার নামে তো পুলিশ রিপোর্ট আছে, তাই দিল্লীর অফিস তোমাকে স্থায়ী কন্ট্রাক্ট দিচ্ছে না। কোন কংগ্রেসি নেতা-টেতার সঙ্গে আলাপ-পরিচয় আছে? তাদের ধরতে পারবে? আমার তো তেমন কারও সঙ্গে পরিচয় নেই! মীরাদি শুনে খানিকটা বিরক্ত হয়েই বললেন, তাহলে কার সঙ্গে আছে? আমি ফট্ করে বললাম, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। মীরাদি ওঁকেই বলতে বললেন। মানিকদা আমার সমস্যার কথা শুনেটুনে বললেন, কাকে বলতে হবে? মানুকে (সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়) বললে হবে? আমি বললুম, হ্যাঁ। তার মাসখানেকের মধ্যেই আমার স্থায়ী কন্ট্রাক্ট বেরিয়ে এল।

এবার চাকরী ছাড়ার কিস্সাটা বলি?
বাজারে সবাই জানত আমি বামপন্থী মানুষ। দূরদর্শনের কর্তাব্যক্তিদেরও সেরকমই ধারণা। তখন আমাদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অজিত পাঁজা। তাঁর কানে গেল যে এই লোকটা কমিউনিস্ট এবং ইউনিয়ন টিউনিয়ন না থাকলেও দূরদর্শনের কর্মীরা এর কথা মান্যটান্য করে। মাঝে মাঝে অতি সূক্ষভাবে লোকটি তার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান দর্শকের দরবার এ দূরদর্শনের কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা ও তাঁদের কিছু সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে। একে কলকাতা থেকে সরাতেই হবে। চক্রান্তে যোগ দিল কলকাতার একটি বাংলা দৈনিক, আমার পিছনে উঠে পড়ে লাগল, নানাবিধ কুৎসা এবং প্রচার চলল। ক্ষেত্র প্রস্তুত হবার পর দিল্লীতে বদলির হুকুম। আমি বললাম, মানি না তোমার হুকুম – হয় কলকাতায় থাকব, নয়ত স্বেচ্ছা-অবসর। টানাটানি চলল একবছর। একজন মন্ত্রীর সঙ্গে একক ব্যক্তিগত লড়াই করে পারে একজন সাধারণ কর্মচারী? তাই এক বছরকাল বাড়ীতে বসে রইলাম। শেষ পর্যন্ত নির্দ্ধারিত অবসরের আট বছর আগেই ১৯৮৮-এর নভেম্বর থেকে সরকার আমার স্বেচ্ছা-অবসর মেনে নিতে বাধ্য হল। বেতন কমা, প্রমোশন, পেনশন বাবাদ প্রচুর ক্ষতি হল, কারণ কলকাতা দূরদর্শনে আমি ছিলাম সিনিয়রিটি-কাম-মেরিট তালিকায় প্রথম। আমাদের কেন্দ্র-অধিকর্তা বা দিল্লীর ডি.জি ভাস্কর ঘোষ অনেক বোঝাবার চেষ্টা করলেন। ভাস্করবাবু এমনও বললেন- দেখেছেন তো, এশিয়ান গেমসের সময় দিল্লীর দক্ষ পুলিশ কমিশনারকে কিভাবে সর্বসমক্ষে হেনস্থা হতে হল বেসরকারী ব্যক্তি রাজীব গান্ধীর হাতে। ন্যায়-অন্যায় যাই হোক, এসব ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের কথাই শেষ কথা! কিন্তু বাঙ্গালে গোঁ যাবে কোথায়? নিজের নাক কেটে নিজেরই যাত্রাভঙ্গ করলাম।

সাধে কি ওরা আমাকে কমিউনিস্ট ভেবেছিল!
১৯৮২-তে এশিয়ান গেমস। বিপুল কর্মকান্ড। দূরদর্শন কভারেজ পুরোটাই নিজেদের করতে হবে, প্রচুর টাকার বরাত দিয়ে বিদেশী প্রাইভেট সংস্থাকে ডেকে আনার কোন সিন নেই তখন, আর্থিক কেলেংকারীরও তেমন সুযোগ নেই। বহুদিন আগে থাকতেই সারা ভারত থেকে বাছাই করা দূরদর্শনকর্মীদের পালা করে দিল্লী গিয়ে ট্রেনিং নিতে হত। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কর্মী এসোসিয়েশনগুলি বোনাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে দিল। তাঁরা আকাশবাণী ভবনের (ওখনেই দূরদর্শনের কর্মকেন্দ্র) সামনে ধর্নায় বসে পড়লেন। রোজই যেতে আসতে দেখি। গেমস শুরু হবার আগের দিন, অর্থাৎ ১৮ই নভেম্বর ভোরবেলায় দিল্লীর পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় চালান করে দিল। নেতারা এইরকম একটা সংকটে পড়ে গ্রেপ্তার বরণের ডাক দিলেন। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া গেল না। কারণ, দূরদর্শনে যাঁরা চাকরী করেন তাঁদের বেশীরভাগ এইসবে বিশ্বাসও করেন না, অভ্যস্তও নন। যদিও আমরা বোনাসের আওতায় পড়ি না, তবুও প্রমাদ গুণলাম এই কারনে যে গ্রেপ্তার –হওয়া কর্মীরা তো গেমস চলাকালীন ছাড়া পবেনই না, বরং গেমস শেষ হয়ে গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার সম্ভাবনা থেকে যাবে – সুতরাং জোটবদ্ধ না হলে উপায় নেই।
আমি কলকাতা কেন্দ্রের সহকর্মীদের বললাম, চল আমরা গ্রেপ্তার বরণ করি। আমি এখনও গর্ববোধ করি যে আমার এক ডাকে সহকর্মীরা রাস্তায় দাঁড় করানো পুলিশের বাসে গিয়ে উঠে বসেছিল সেদিন। আমাদের দেখাদেখি স্রোত বইতে শুরু করল, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা কয়েক শত দূরদর্শনকর্মী গ্রেপ্তার বরণ করলেন। তারপর পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানার ভিতরের মাঠে আমাদের আটকে রাখা হল। সবাই হাসি, ঠাট্টা, গানে কাটিয়ে দিলাম বেশ খানিকটা সময়। একেবারে বিকেলের দিকে নাম ডেকে ডেকে বাসে উঠতে বলা হল, আমাদের এবার তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। শুনে সবার চক্ষু চড়কগাছ! আমার খুবই প্রিয় কলকাতার দুই সহকর্মী অশ্রুসজল চোখে কাতরভাবে বলল – বিভাসদা, আমরা তো জেলে যাবার জন্য আসিনি, আমরা এসেছি এশিয়ান গেমস কভার করতে। আমি বললাম-বেরিয়ে যখন পড়েছি ভাই, থামশলে তো আর চলবে না! অবশেষে তিহার জেলেই ঢুকতে হল। আর সেটি একটি দ্রষ্টব্য স্থান বটে!
আমাদের ওয়ার্ডের দিকে হাঁটছি, এমন সময় অফিসার গোছের একটি লোক আমাদের লক্ষ্য করে ইংরেজীতে জিজ্ঞেস করল, বিভাস চক্রবর্তী কে? বুকটা ধক্ করে উঠল। কিন্তু আমার মধ্যে তখন নেতা-র ভর হয়েছে, তাই ভয় পেয়েছি দেখালে তো চলবে না। এগিয়ে গিয়ে বললাম-আমি, কিন্তু কেন? উত্তর এল, আপনি আমার সঙ্গে একটু আসুন। আমার সহকর্মীদের মধ্যে কয়েকজন তক্ষুনি আমাকে আড়াল করে দাঁড়াল। বললে- না, আমরা যেতে দেব না। উঁনি গেলে আমারাও সঙ্গে যাব। ওদের মত আমার মনেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে – একা সরিয়ে নিয়ে গিয়ে হয়ত......! অনেক বাদানুবাদের পর লোকটি বলল- ওঁনার বড় ভাই বিকাশ চক্রবর্তী (আমার দাদা তখন দিল্লী প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার) আমাকে জানিয়েছেন, আমি যেন ওঁনার দেখভাল করি। আমাদের ধড়ে যেন প্রাণ এল। বললাম, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার দাদাকে বলবেন- আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গেই থাকব, কোন অসুবিধা হবে না। ভদ্রলোক হাল ছাড়লেন। আমরাও ব্যারাকে প্রবেশ করে যে যার জায়গা বেছে নিয়ে নিচে কম্বল, ওপরে কম্বল দিয়ে শুয়ে পড়লাম। আমাদের পাশেই ছিল অভিজিৎ দাশগুপ্ত। হঠাৎ কোথ্থকে ক্যামেরাম্যান বিমান সিংহ ভগ্নদূতের মত ছুটে এসে হাঁউমাঁউ করে খবর দিল – বিভাসদা, ওরা বলছে আমাদের নাকি গেমস শেষ হবার আগে ছাড়বে না! ভিতরে কাঁপুনি, কিন্তু বাইরে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখিয়ে বললাম - ছাড়বে না তো ছাড়বে না, শুয়ে পড় দিকি। শুয়ে পড়ার খানিকবাদে হঠাৎ চারপাশে চিৎকার – ছেড়ে দিয়েছে, ছেড়ে দিয়েছে! সেই শেষরাত্রে তিহার জেল থেকে ছাড়া পেলাম আমরা। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে এশিয়ান গেমস-১৯৮২।

এবিসি- আপনার ভাবনায় শিল্পের শৈল্পিক দিক নির্ধারণ কে করবেন? শিল্পী নিজে, সাধারণ মানুষ, নাকি কোন বিশেষ প্রতিষ্ঠান? এটি নির্ধারণ হবে কিভাবে? দর্শক, পাঠক না শ্রোতা – শিল্পের উৎকর্ষ নিয়ে শেষ কথা বলবেন কে?
বিভাস- শিল্পস্রষ্টাই তাঁর শিল্পের নির্ধারক। পরোক্ষভাবে তাঁর সৃজনভাবনা নির্ধারণ করে মানুষ সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি, নাটকের ক্ষেত্রে তাঁর নির্দিষ্ট দর্শকমণ্ডলীর চেতনার স্তর এবং সেই সম্পর্কে তাঁর ধারণার সঠিকতার উপর। শেষ কথা কেউই বলতে পারেন না। শিল্পটা তো আর অঙ্ক নয় যে সবসময় একই উত্তর মিলবে।

এবিসি- বর্তমান সময়ে যুগের চাহিদা, প্রত্যয়ের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে প্রথাগত শিক্ষার গুরুত্ব কতটা?
বিভাস- প্রথাগত শিক্ষা এড়িয়ে ক কোন উপায় নেই, কাজের কথাও নয়। তবে জীবনে বিকল্প শিক্ষার প্রয়োজন অতি আবশ্যক। প্রতিষ্ঠান-নির্ধারিত পথকেই একমাত্র পথ বলে মেনে নিলে জীবন, মানুষ এবং তাঁর ইতিহাসকে কখনই সম্যক বোঝা যেতে পারে না।

এবিসি- সংস্কৃতি চর্চার আঙিনায় শিল্পের প্রচার ও প্রসার কতটা জরুরী?
বিভাস- প্রকৃত শিল্পের, সুস্থ শিল্পের – প্রচার ও প্রসার অবশ্যই জরুরী। তা না হলে তো আগাছায় ভর্তি হবে সংস্কৃতির আঙিনা। চারিদিকে তাকালে তাই তো দেখা যাচ্ছে। ভালো চলচিত্র, ভালো যাত্রা-থিয়েটার, ভালো গান-বাজনার প্রচার বা পৃষ্ঠপোষকতা তো আর তো আর তেমনভাবে দেখা যায় না। তার জায়গা নিয়েছে অশ্লীল, অস্বাস্থকর নোংরা বিনোদন-এই যুক্তিতে যে, বাজার তা-ই চায়। বিকল্পের সন্ধান বা উদ্ভাবন করতে হবে এবং তার প্রচার ও প্রসারের কথাও ভাবতে হবে।

এবিসি- সরকারের কর্মচিন্তার সঙ্গে রাজ্যবাসী কতটা একাত্মবোধ করতে পারেন বা কতটা পারা উচিৎ?
বিভাস- তার আগে তো মানুষকে জানতে হবে সরকার কি ভাবছেন। মানুষের কাছে সেই ভাবনাগুলো পৌঁছতে হবে, তার রূপায়ণও তাকে প্রত্যক্ষ করতে হবে। মানুষ একাত্মবোধ করতে পারে তখনই, যখন এবং যদি সে অনুভব করে যে সরকারের কর্মচিন্তা মানুষের মঙ্গলার্থেই রচিত এবং রূপায়িত হচ্ছে।

এবিসি- জনসংযোগের ক্ষেত্রে শিল্পকে কিভাবে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা যায়? শিল্পকে কিভাবে সংযোগের ভাষা হিসেবে প্রকাশ করা যায়?
বিভাস- শিল্পকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার অর্থই হচ্ছে তার ওপর একধরণের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা। বাম জমানায় লোকশিল্প মরে গিয়ে মূলত বিবিধ সরকারী প্রকল্পের প্রচারের বাহন হয়ে উঠেছিল। তাতে তার সৃষ্টির স্বতস্ফূর্ততা, নান্দনিকতা এবং শিল্পীর স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়েছে, ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এমনিতে তো সব স্রষ্টাই তাঁর শিল্পের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতেই চান।

এবিসি-সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে শিল্পীর নিজের কিছু অনন্য ভাবনা আছে কি? থাকলে, সে সম্পর্কে দু চার কথা বলুন।
বিভাস- প্রকৃত জনগণমঙ্গলদায়ক আদর্শ সরকার তো  মানুষ কোনও দিনই পায় নি, পাবেও না। তাই সরকারের সঙ্গে সেতুবন্ধনের চেষ্টা না করাটাই  শিল্পী এবং শিল্পের পক্ষে মঙ্গলজনক।

এবিসি- সংস্কৃতির বিকাশে পশ্চিমবঙ্গকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে কোন বিশেষ ভাবনার কথা বলুন। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কি ভূমিকা থাকা উচিৎ?
বিভাস- আবারও বলছি, সরকারের বিচার – বিবেচনার অভাবে বাংলা সাধারণ রঙ্গালয়, বাংলা প্রেক্ষালয়, বাংলা মাধ্যমের স্কুল তো আজ লুপ্ত হয়ে গেল। বাংলা ভাষার ভবিষৎও খুব একটা উজ্জ্বল নয়। সব সকিছুকেই বাজারের হাতে ছেড়ে দিয়ে বসে ছিল আমাদের বাম সরকার, বর্তমান সরকারও কি করবে আমাদের জানা নেই।

এবিসি- মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে, আর সৃষ্টি করে আনন্দে। একজন শিল্পী তাঁর সৃষ্টিশীল কাজ কিভাবে জনমানসে ধরে রাখতে চাইবেন?
বিভাস- শিল্পী চাইবেন, অনেক মানুষ উপভোগ করুক তাঁর শিল্প, অনুভব করুক তাঁর ভাবনা-চিন্তা। জনগণের কাছে পৌঁছনোর কিংবা জনমানসে ধরে রাখার দায়িত্ব তো নেবে সমাজ। আমাদের সমাজ কি তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন, নাকি সেও বাজারের কাছে আত্মসমর্পন করে বসে আছে। জনমানসে সংস্কৃতির নামে অন্য কিছু পৌঁছে দেবার দায়িত্ব পালন করছে এই সমাজ – সজ্ঞানে অথবা অজ্ঞতায়।

If you have face in difficulty in seeing the content please download Bengali font here after observing all formalities.